টিপস

অনলাইনে মিটারের আবেদন ২০২৪ – ফরম, খরচ, বিস্তারিত

আপনি কি পল্লী বিদ্যুতের নতুন মিটারের জন্য আবেদন করতে চাচ্ছেন? তাহলে জেনে নিন অনলাইনে পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে। কিভাবে অনলাইনে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগের আবেদন করবেন আবেদন নিয়ম শব্দ পরিষদের পদ্ধতি বিস্তারিত আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাবো। বাংলাদেশ সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী শতভাগ বিদ্যুৎ আইনের কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার জন্য বর্তমানে অনলাইনে পল্লী বিদ্যুতের মিটারের অ আবেদান করা হচ্ছে।তাই আপনি যদি এখনো শতভাগ বিদ্যুৎ আইনের আওতায় আসেননি তাহলে আপনি এখনই অনলাইনে পল্লী বিদ্যুতের নতুন মিটারের জন্য আবেদন করতে পারেন। আবেদন করার ৩০ কার্য দিবসের মধ্যে আপনি আপনার বাসায় পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ পেয়ে যাবেন। অনলাইনে আবেদন করলেই পল্লী বিদ্যুতের নতুন মিটার আবেদন পদ্ধতিতে আপনাকে কোন প্রকার দ্বিতীয় পক্ষের দ্বারস্থ হতে হবে না। আপনি সরাসরি অনলাইনে আবেদন করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির যোগাযোগ করে বাড়িতে পল্লী বিদ্যুৎ নতুন সংযোগ নিতে পারবেন।

মিটার আবেদনের পদ্ধতি

পল্লী বিদ্যুৎ নতুন সংযোগ পেতে আপনাকে প্রাথমিকভাবে অনলাইনে একটি ফরম পূরণ করতে হবে। অনলাইনে ফরম পূরণ করার জন্য পল্লী বিদ্যুতের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রাথমিক ফরম পূরণ সমাপ্ত করতে হবে।। এরপর আপনাকে ওয়্যারিং রিপোর্টসহ নিকটস্থ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে সেই ফর্ম সহ যোগাযোগ করতে হবে। আমরা এই নিবন্ধনে পল্লী বিদ্যুতের অফিসিয়াল লিংকটি সংযুক্ত করেছে আপনাদেরকে সেই লিংকে গিয়ে আবেদন ফরমটি পূরণ করতে হবে।পল্লী বিদ্যুতের নতুন মিটারের আবেদনের জন্য যা যা লাগবে তা হচ্ছে আবেদনকারীর নাম, আবেদনকারীর ঠিকানা, আবেদনকারী জাতীয় পরিচয় পত্র, দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, প্রয়োজনীয় টাকা, ওয়্যারিং রিপোর্ট, সংযোগস্থলের খারিজের স্ক্যান কপি।

মিটারের আবেদনের কিছু নিয়মাবলী

পল্লী বিদ্যুতের নতুন মিটারের আবেদন করার জন্য আপনাকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। পল্লী বিদ্যুৎ অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রাথমিক আবেদন ফরমটি পূরণ করতে হবে।। প্রাথমিক আবেদন ফরমটি চিত্র আমি তুলে দিয়েছি যথাযথ পূরণ করতে হবে তা হল-

আপনার ইন্টারনেট ব্রাউজারের মাধ্যমে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন এবং একটি ইন্টারফেস দেখতে পাবেন। এবার আপনার কম্পিউটারের উপরের দিকে একটা আবেদন লেখা দেখতে পাবেন এবং সেই আবেদন লেখাটি ক্লিক করবেন। আপনার ক্লিক করার পর একটি ফর্ম চলে আসবে সেখানে আপনার এলাকার বিদ্যুতের অফিসের নাম, জ, সংযোগ করে ইত্যাদি এসব তথ্য পূরণ করতে হবে।তাছাড়া আবেদনকারীর তথ্য যেমন আবেদনকারীর নাম, আবেদনকারীর পিতার নাম, মাতার নাম, এন আইডি নম্বর, মোবাইল নম্বর ও আপনার ঠিকানা সহ সমস্ত তথ্য ভালোভাবে পূরণ করতে হবে।

আবাসিক সংযোগ এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য

বর্তমান পল্লী বিদ্যুৎ সমবায় সমিতি গুলো শুধুমাত্র আবাসিক সংযোগ প্রদান করে থাকে। কোন রকম ঝামেলা বা তৃতীয় পক্ষে সাহায্য ছাড়া পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ খুব সহজে নেওয়া যায়। বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পল্লী বিদ্যানিয়ন বোর্ডগুলো সাহায্যে শয়তানের কাজ করছে। পল্লী বিদ্যুতের আবাসিক সংযোগের ক্ষেত্রে আপনাকে যে যে কাজগুলো করতে হবে সেগুলো হচ্ছে আবেদন করার সময় ছবি, জাতীয় পরিচয় পত্র ও সংযোগস্থলের খারিদের স্ক্যান কপি সংযুক্ত করতে হবে। সার্ভিস ড্রপের দূরত্ব ১৩০ ফুটের মধ্যে হতে হবে। সঠিকভাবে মেপে সার্ভিস সার্ভিস ড্রপের দূরত্ব প্রদান করুন সার্ভিস গ্রুপে দ্রুত সঠিক না হলে তারের দৈর্ঘ্য কমবেশি হতে পারে ভুল তথ্য দিলে পরবর্তীতে সংযোগ পেতে বিলম্ব হতে পারে।

মোট লোড 80 কিলোমিটারের বেশি হলে এস টি সংযোগের নিয়মাবলী প্রযোজ্য হবে। অনলাইনে সার্ভে করার পর প্রয়োজন অর্থ জমা দেনসহ সকল নির্দেশনা এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে। গুলো অবশ্যই পূরণ করতে হবে। আবেদন পত্রের গ্রাহকের নিজস্ব মোবাইল নাম্বার প্রদান করতে হবে। আবেদনের পর ট্রাকিং আইডি এবং পিন নম্বর অবশ্যই সংরক্ষণ করতে হবে। সংযোগের অর্থ ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পরিশোধ করা যাবে।
আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সব তথ্য আলোচনা করলাম আপনাদের আরো কোন কিছুর জানা থাকলে বা সমস্যা মনে হলে অবশ্যই আমাদেরকে জানাবেন কমেন্টে।

Jahidul Islam

আমি মোঃ জাহিদুল ইসলাম। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা বিভাগ হতে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করে 2018 সাল থেকে সমাজের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক,মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি অবলোকন করে- জীবনকে পরিপূর্ণ আঙ্গিকে নতুন করে সাজানোর আশাবাদী। নতুনের প্রতি মানুষের আকর্ষণ চিরস্থায়ী- তাই নবরুপ ওয়েবসাইটে নিয়মিত লেখালেখি করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button